অনলাইন ডেস্ক::
তারুণ্যেই আধুনিকতার প্রায় পুরোটা পেয়েছে মিলেনিয়ালরা (চলমান সহস্রাব্দের প্রজন্ম)। এরা শিক্ষিত, স্বাধীনচেতা এবং প্রযুক্তিনির্ভর। তবে এরাই আবার বড় ধরনের স্বাস্থ্যগত সমস্যার ভুক্তভোগী। মিলেনিয়ালরা খুব দ্রুত স্থূলকায় হয়ে যাচ্ছে। মুটিয়ে যাওয়ার এমন হার তাদের মা-বাবা বা তারও আগের প্রজন্মের মধ্যে এতটা ব্যাপক ছিল না। ‘ওবেসিটি রিসার্চ অ্যান্ড ক্লিনিক্যাল প্রাকটিস’ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে মিলেনিয়ালদের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার নানা পরামর্শ দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
১. সম্প্রতি এক গবেষণায় বলা হয়, স্মার্টফোনের মাধ্যমে খাদ্যতালিকা মেনে চলার পরামর্শ নিলে খাদ্য গ্রহণে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা হয়। কাজেই এ পদ্ধতিতে প্রতিদিনের ক্যালোরি গ্রহণের পরিমাণ নির্দিষ্ট করে ফেলুন।
২. মিষ্টি আলুর দিকে ঝুঁকে পড়ুন। এর পটাসিয়াম হৃৎযন্ত্রের যত্নআত্তি করে। এ ছাড়া মিলেনিয়ালরা প্রক্রিয়াজাত খাবারে আসক্ত। মিষ্টি আলুর পটাসিয়াম অন্যান্য খাবার থেকে গৃহীত বাড়তি সোডিয়াম বের করে দেয়।
৩. ক্যান্ডি বা চিনিপূর্ণ বেভারেজ মিলেনিয়ালদের প্রিয় খাবার। এ ক্ষেত্রে ‘চোখের আড়াল তো মুখের বাইরে’ নীতি গ্রহণ করতে হবে। এসব খাবারের দিকে ভুলেও তাকাবেন না।
৪. বেশ কয়েকটি গবেষণায় বলা হয়, দিনে ৬-১০ বার হালকা ক্ষুধা লাগতে পারে। এ সময় চিপস বা অন্য যেকোনো অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার আগে এক গ্লাস পানি খেয়ে নিন।
৫. দোকানের বার্গার না খেয়ে বাড়িতে দুটি রুটির মাঝখানে কিছু সবজি এবং লেটুস নিয়ে কামড় বসিয়ে দিন। অথবা মাংস দিয়েও খেতে পারেন। কিন্তু তা বাড়িতেই বানিয়ে খান।
৬. আলমন্ড বা নারিকেলের দুধ না খেয়ে গরুর দুধ খাওয়ার চেষ্টা করুন। চা বা কফিতে এই দুধ ব্যবহার করুন। তবুও অন্য প্রক্রিয়াজাত দুধ খাবেন না। ভালো না লাগলে বিভিন্ন রেসিপির মিল্কশেক রয়েছে। এগুলো বাড়িতেই বানান।
৭. সকালে উঠে এক কাপ কফি না খেয়ে এক গ্লাস লেবু-পানি খেয়ে ফেলুন। তবে কফিও চলতে পারে। তাই বলে রাত জাগলে গোটা সময় কফি খেয়ে কাটাতে যাবেন না। এটা দেহ-মনকে অবসাদগ্রস্ত করে এবং আপনাকে মোটা বানানোর প্রক্রিয়া শুরু করে।
৮. রাতের ঘুম নিশ্চিত করতে হবে। তাই বিছানায় যাওয়ার এক ঘণ্টা আগে থেকে স্মার্টফোন বা ট্যাবকে বিদায় জানান। বিভিন্ন গবেষণায় নিশ্চিত করা হয় যে ঘুমের অভাবে মুটিয়ে যায় মানুষ।
৯. ফল খেতে মানা নেই। যত বেশি সম্ভব ফল খেতে হবে। ২০ পেরোনোর পর সাধারণত ফোলেটের প্রয়োজন হয় না। তবে মিলেনিয়ালদের যথেষ্ট পরিমাণ ফোলেট প্রয়োজন, যা ফল থেকে আসে। ফোলেটের অভাবে শুধু ওজন বৃদ্ধিই নয়, ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও বাড়ে।
১০. সুপারশপে বাজার করতে গেলে প্রিয় গান শুনতে শুনতে জিনিসপত্র কিনুন। এক গবেষণায় দেখা যায়, হেডফোনে গান ছেড়ে বাজার করলে অপেক্ষাকৃত ক্ষতিকর খাবার কম কেনা হয়।
১১. যে খাবার বা পানীয়ই হোক না কেন, কৃত্রিম মিষ্টি ও রং এড়িয়ে যেতেই হবে। এসব খাবারের রাসায়নিক উপাদান দেহ গ্রহণ করতে পারে না।
১২. খাবার-দাবারের নিমন্ত্রণ এড়িয়ে যান। সেখানে গেলে গুরুপাক পেট পুরে না খেলে মোটেও ভালো লাগবে না। যদি যেতেই হয়, বাড়ি থেকে ভালো কিছু খেয়ে যান। এতে দাওয়াতে গেলেও বেশি কিছু খেতে পারবেন না।
১৩. অফিস বা পড়ার টেবিলে বসে খাওয়ার অভ্যাস পরিত্যাগ করুন। কারণ ওখানে বসে দ্রুত খাওয়া শেষ করার প্রবণতা থাকে। ফলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ফাস্ট ফুড বেছে নেওয়া হয়।
১৪. তিন বেলার মূল খাবার সঠিক সময়ে খেয়ে নিতে হবে। আর এসব মেনুতে অবশ্যই স্বাস্থ্যকর খাবার থাকবে।
১৫. প্রতিদিন ব্যায়ামের দ্বারা একটু ঘাম ঝরানোর চেষ্টা করুন। বাইরে হেঁটে বা দৌড়ে অথবা শরীরচর্চা কেন্দ্রে গিয়ে এ কাজ সারা যায়।
১৬. সফল ক্যারিয়ার গড়তে সুস্থ দেহ চাই। বিষয়টি মস্তিষ্কে গেঁথে ফেলুন। ‘আমেরিকান জার্নাল অব এপিডেমিলজি’তে বলা হয়, কাজে-কর্মে স্ট্রেস ভর করলে মোটা হওয়ার শঙ্কা ২৬ শতাংশ বাড়ে।
১৭. অনেক রেস্টুরেন্টেই মূল খাবারের সঙ্গে অন্যান্য আইটেম ফ্রিতে মেলে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তা চিপস, ব্রেড স্টিক বা সালসা হয়ে থাকে। এসব ফ্রি খাবার মুখে নেবেন না।
১৮. ওজন নিয়ন্ত্রণের আরেকটি দারুণ উপায় বাদাম। হালকা ক্ষুধায় বিভিন্ন ধরনের ও স্বাদের বাদাম বেছে নিন।
১৯. মাছে আসক্তি আনুন। সামুদ্রিক মাছে ওমেগা-৩ থাকে। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিসহ ওজনের দিকেও দৃষ্টি দেয়।
২০. অনেকের গভীর রাতে ক্ষুধা লাগে। এ সময়টা পিৎজা বা ফাস্ট ফুডেই লোভ জাগে। এই পছন্দ সংবরণ করুন। বরং এক গ্লাস গরুর দুধ বা এক টুকরা ফ্যাটবিহীন পনির বেছে নিন।
–এমএসএন অবলম্বনে সাকিব সিকান্দার
প্রকাশিত: ৩১/১০/২০১৫ ১২:১৭ অপরাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক:: কক্সবাজারের উখিয়ায় ৭৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে খেজুর বিতরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার ...
পাঠকের মতামত